Latest Posts

Monday 27 July 2020

যে দেশে মাত্র 27 জন মানুষ থাকে এবং মাটি নেই দেশে,এবং সবচেয়ে ছোট দেশ |

যে দেশে মাত্র 27 জন মানুষ থাকে এবং মাটি নেই দেশে,এবং সবচেয়ে ছোট দেশ |

আপনারা হয়ত কোনো দেশ আছে যাতে কোনো মাটি নেই এটি কি কখনো ভেবেছেন |প্রিয় দর্শক আজকে আমি আপনাদের সামনে এরকম একটি দেশের নাম বলব এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে জানাবো |

এই দেশটি 2 সেপ্টেম্বর 1967 সালে স্বাধীন হয় | এটি সবচেয়ে ছোট দেশও বটে | হ্যা এর নাম হচ্ছে সিল্যান্ড |
যে দেশে মাত্র 27 জন মানুষ থাকে
সিল্যান্ড :রাজধানীর নাম HM Fort Roughs

সিল্যান্ড একটি অণুরাষ্ট্র (ইংরেজি Micronation মাইক্রোনেশন)। এখানকার বাসিন্দারা নিজেদেরকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবী করলেও বিশ্বের কোনও সার্বভৌম রাষ্ট্র একে রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা দেয়নি

সবচেয়ে ছোট দেশ |
সিল্যান্ড :আয়তন ৫৫০ বর্গমিটার

ভৌগিলিক অবস্থান :
  • এই তথাকথিত ক্ষুদ্রতম দেশটির মোট আয়তন ৫৫০ বর্গমিটার। 
  • ইংল্যান্ডের উত্তর সাগরে এই রাষ্ট্রটির অবস্থান। দেশটির একটি রাজধানীও রয়েছে। দেশটির রাজধানীর নাম HM Fort Roughs
  •  এই দেশটি সাগরের উপর ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। মাটি থেকে অনেকটা উপরে দুটো বড় বড় ইস্পাতের পাইপের উপর এই দেশটির অবস্থান। এই দেশটিতে কোনো মাটি নেই। পুরোটাই ইস্পাত। 
  • এই দেশটিতে যেতে হলে ইংল্যান্ডের উত্তর উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার সাগরের গভীরে যেতে হবে। 
  • দেশটিতে একটিমাত্র ঘর চোখে পড়বে এবং সেটিই এই দেশের রাজপ্রাসাদ। রাজপ্রাসাদের উপর দেশটির পতাকা উড়তে দেখা যাবে।

মুদ্রা :
  1. মজার বিষয় হচ্ছে সে দেশে মুদ্রাও রয়েছে | 
  2. দেশটিতে ইংরেজি ভাষা প্রচলিত এবং মুদ্রার নাম সিল্যানন্ড ডলার।
  3. তবে বাইরের কোনো দেশে এই মুদ্রা চলে না।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে স্বাধীন হলো | হ্যা এই দেশকে কেউ স্বীকৃতি দেয়নি তবে বিরোধিতা ও করেনি  |


ইতিহাস :



  • এটি আসলে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি সমুদ্র বন্দর। জার্মান সেনারা যে কোনো সময় ইংল্যান্ড আক্রমণ করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ইংল্যান্ডের উপকূলভাগে সমুদ্র দুর্গ বানানোর পরিকল্পনা করল। 
  • সে পরিকল্পনা থেকেই উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে বানানো হলো মউনশেল সি ফোর্ট। এখান থেকে শত্রু যুদ্ধ জাহাজগুলোর ওপর নজরদারি করা হতো। প্রয়োজনে শত্রু জাহাজে আক্রমণ পরিচালনার কাজও চলত।
  •  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে অন্যান্য অসংখ্য দুর্গের সঙ্গে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এটাকেও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে।
  • ১৯৬৭ সালের ২রা সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ নাগরিক Major Paddz Roy Bates এবং তার পরিবার এই জায়গাটির স্বত্বাধিকারী হোন। তারপর তারা এটাকে একটি স্বাধীন মাইক্রো রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেয় 
  • | পৃথিবীর কোনো দেশ এখনও সিল্যান্ডকে স্বীকৃতি না দিলেও কেউ তাদের বিরোধিতা করেনি। মোট জনসংখ্যার তিনজনই Bates পরিবারের সদস্য এবং যথাক্রমে তারা এই রাজ্যের রাজা, রানী এবং রাজপুত্র

সিল্যান্ড: রাজা Major Paddz Roy Bates

পতাকা এবং প্রতীক :

সিল্যান্ডের  নিজস্ব পতাকা এবং প্রতীক রয়েছে   

 মাটি নেই দেশে
সিল্যান্ড : পতাকা
যে দেশে মাত্র 27 জন মানুষ থাকে এবং মাটি নেই দেশে,এবং সবচেয়ে ছোট দেশ |
সিল্যান্ড :প্রতীক 

অগ্নিকান্ড : 

সিল্যান্ডে একবার অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়। সময়টি ছিল ২০০৬ সালের ২৩ জুন। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লাগে।এতে সিল্যান্ডের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ইংল্যান্ডের উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে সিল্যান্ডকে মেরামত করা হলে ২০০৬ সালের নভেম্বরে তারা আবার সিল্যান্ডে ফিরে যান




Sunday 26 July 2020

করোনা ভাইরাস সম্পর্কে তিরিশটি সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন-?

করোনা ভাইরাস সম্পর্কে তিরিশটি সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন-?

১) করোনা শব্দের আভিধানিক অর্থ কি? উঃ মাথার মুকুট

২) কোন দশকে করোনা ভাইরাসের সন্দেহ মেলে? উঃ ১৯৩০

৩) করোনা ভাইরাস কত সালে আবিষ্কার হয়? উঃ ১৯৬০

৪) WHO কবে এই ভাইরাসের নাম দেন 2019-nCOV? উঃ ৭ জানুয়ারি,২০২০

৫) কোভিড-১৯ কবে নামকরণ করা হয়? উঃ ১১ ফেব্রুয়ারি,২০২০

করোনা ভাইরাস সম্পর্কে তিরিশটি সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন-?
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে তিরিশটি সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন-?


৬) কোভিড-১৯ রোগটি প্রথম কোথায় ও কবে সনাক্ত করা হয়? উঃ ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৯ চীনের উহান নগরীতে রোগটি সনাক্ত করা হয়।

৭) WHO, COVID-19 কবে PANDEMIC হিসেবে ঘোষণা করে? উঃ ১১ মার্চ, ২০২০

৮) COVID-19 রোগটির বহনকারী ভাইরাসটির নাম কি? উঃ SARS-COV-2

৯) বিজ্ঞানীরা কবে কোভিড-১৯ কে সার্স-করোনা ভাইরাস গোত্রের বলেন? উঃ ৯জানুয়ারি,২০২০

১০) কোভিড-১৯ কে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে কবে কে ঘোষণা দেয়? উঃ ১১ মার্চ,WHO

১১) বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী সনাক্ত করা হয় কবে? উঃ ৮ মার্চ, ২০২০

১২) কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রথম মারা যায় কবে? উঃ ১৮ মার্চ,২০২০

১৩) সর্বপ্রথম বাংলাদেশ কোন জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়? উঃ মাদারীপুর

১৪) আইইডিসিআর কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়? উঃ ১৯৭৬

১৫) IEDCR- পূর্ণরুপ কী? উঃ Institute of Epidemiology, Diseases Control and Research.

১৬) IEDCR এর বর্তমান পরিচালক কে? উঃ প্রফেসর ড. মীরজাদী সাব্রিনা ফ্লোরা।

১৭) IEDCR এর সদর দপ্তর কোথায়? উঃ মহাখালী, ঢাকা।

১৮) PPE এর পূর্নরুপ কি? উঃ Personal protective Equipment.

১৯) সর্বপ্রথম বাংলাদেশের নাগরিক কোন দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়? উঃ সিঙ্গাপুর

২০)করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষার জন্য নাক ও গলার লালার নমুনা সংগ্রহ করার বিশেষ কাঠির নাম কী? উত্তরঃ সোয়াব স্টিক

২১) করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট বাংলাদেশেকে সরবরাহ করেছে? উঃ WHO

২২)করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে গণস্বাস্থ্যের তৈরি কিটের নাম কী? উত্তরঃ জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট

২৩) করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের বিশ্বের প্রায় কয়টি দেশে সংক্রমণের বিস্তার করে? উঃ ২০০টি

২৪) করোনা ভাইরাস সর্বপ্রথম ইউরোপের কোন দেশে ধরা পরে? উঃ ফ্রান্স

২৫) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের কোন ডাক্তার মারা যান? উঃ ড. মইনুদ্দিন

২৬) করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে সর্বপ্রথম কোন সাংবাদিক মারা যান? উঃ হুমায়ুন কবির খোকন

২৭) করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্ককারী চিকিৎসকের নাম কি? উঃ লি ওয়েনলিয়াং

২৮) লি ওয়েনলিয়াং কবে মারা যান? উঃ ৬ ফেব্রুয়ারী,২০২০

২৯) WHO কবে বৈশ্বিক অবস্থা জাড়ি করে? উঃ ৩০ জানুয়ারি,২০২০

৩০) করোনা ভাইরাসের ৭ম প্রজাতির নাম কি? উঃ 2019 Novel Corona Virus (বি.দ্র. তথ্যগুলো বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স থেকে সংগ্রহ করেছি,ত্রুটি মার্জনীয়)

Sunday 19 July 2020

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নতুন রোগ দেখে যাচ্ছে বাংলাদেশেও

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নতুন রোগ দেখে যাচ্ছে বাংলাদেশেও

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নতুন রোগ দেখে যাচ্ছে বাংলাদেশেও
করোনাভাইরাসের কারণে মানবদেহে এমন কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে যার প্রভাব বেশ মারাত্মক। করোনা সম্পর্কিত নতুন নতুন রোগের সন্ধান মিলছে। এর একটি হচ্ছে- মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোম। বিরল এই রোগে আক্রান্ত দুটি শিশু ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এপ্রিল মাসে সর্ব প্রথম যুক্তরাজ্য এবং আমেরিকায় বেশ কিছু শিশুর মধ্যে এই রোগ ধরা পড়ে। এটি মূলত শিশুদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়ার পরে দেখা গেছে এই রোগে আক্রান্ত কিছু শিশুর মধ্যে করোনা সংক্রমণ রয়েছে।
গত ১৫ এবং ২৭ মে বাংলাদেশে দুটি শিশুর মধ্যে এই রোগের উপস্থিতি পাওয়া যায়। বিরল এই রোগে আক্রান্ত দুটি শিশু ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। আক্রান্ত দুই শিশুর মধ্যে একজনের বয়স ৩ মাস এবং আরেক শিশুর বয়স ২ বছর দুই মাস।
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দুই শিশুরই যথাক্রমে ৫ ও ৭ দিন ধরে ১০২ এবং ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট জ্বর ছিল। এর সঙ্গে ছিল ডায়রিয়া, চোখ ও ঠোঁট লাল হয়ে যাওয়া এবং পায়ের হালকা ফোলা ভাব। তারা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগে শিশুদের আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি। তারা পরামর্শ দিচ্ছেন, যেহেতু এই রোগটি করোনার সঙ্গে সম্পর্কিত, সেজন্য মহামারির সময় শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, শিশুদের মধ্যে যদি—জ্বর, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি, ঘাড়ে ব্যথা, র‍্যাশ, চোখ লাল হয়ে যাওয়া এবং বেশি ক্লান্ত অনুভব করার লক্ষণগুলো থাকে তবে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
তবে সব শিশুর ক্ষেত্রে একই রকমের উপসর্গ নাও থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল। সংস্থাটি বলেছে আরো কিছু উপসর্গ থাকতে পারে, যেমন—শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা, বুকে চাপ ও ব্যথা অনুভব করা, জেগে থাকতে কষ্ট হওয়া, ঠোঁট এবং মুখ নীলাভ হয়ে যাওয়া। চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগ থেকে শিশুদের রক্ষার করার উপায় হচ্ছে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের কাছ থেকে দূরে থাকা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য যেসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, ঠিক একই ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোমের ক্ষেত্রে।

Friday 17 July 2020

করোনার ৩টি নতুন লক্ষণ

করোনার ৩টি নতুন লক্ষণ

করোনার ৩টি নতুন লক্ষণ
মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন নতুন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়তই। করোনা আক্রান্ত রোগীদের অভিজ্ঞতা ও পরীক্ষা করে গবেষকরা এ সব নতুন লক্ষণ সম্পর্কে অবহিত করেছেন। জ্বর-সর্দি-মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট এসব কমন লক্ষণ ছাড়াও এই কয়েকদিনে আরো কয়েকটি নতুন লক্ষণের দেখা মিলেছে। বিশ্বজুড়ে অনেক করোনা রোগীর মাঝেই নতুন এই লক্ষণগুলি দেখা যাচ্ছে। 
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ন্যাশনাল ডিজিজ (সিডিসি) করোনাভাইরাসের লক্ষণসমূহের তালিকায় তিনটি নতুন লক্ষণ যুক্ত করেছে। এমনটাই প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া-
বুকে চাপ ধরা ও নাক দিয়ে পানি পড়া:
করোনাভাইরাসের সর্বাধিক পরিচিত লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো শুকনো কাশি হওয়া বা সর্দি লাগা। সর্বশেষ অনুসন্ধান অনুসারে, রোগীদের ক্ষেত্রে সংক্রামণের প্রারম্ভিক দিনগুলোতে লক্ষণ হিসাবে বুকে চাপ ধরা এবং নাক দিয়ে পানি পড়া লক্ষ করা গেছে। অনেক ক্ষেত্রে, ভাইরাসটি নাক থেকে বিস্তার করেছে যা পরে নাকের ইনফেকশন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বমি বমি ভাব : 
নিজেকে লুকিয়ে রাখা বা ছদ্মবেশ ধারণ করা সম্ভবত করোনাভাইরাসের অন্যতম স্বভাব। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন যে, বমি বমি ভাব বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো লক্ষণগুলো হালকা সংক্রমণের ক্ষেত্রে জড়িত হতে পারে। যারা কেবল গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা অনুভব করেন এবং প্রাথমিকভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান না, তাদের ক্ষেত্রে এটি আরও বাড়তে পারে। পেটে ব্যথা, ক্ষুধা হ্রাস এবং স্বাদের অনুভূতি চলে যাওয়াও এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
ডায়েরিয়া :
আরও একটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ইস্যুকে খারিজ করা উচিত নয়, তা হলো ডায়েরিয়া। জানা গেছে যে, অন্যান্য ভাইরাসজনিত রোগের মতো, করোনাভাইরাসও হজম সিস্টেমে আক্রমণ করতে পারে এবং একে ভারসাম্যহীন করে তুলতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলো সুস্থ হওয়ার গতি ধীর করে দেয়। আপনার যদি ডায়েরিয়ার লক্ষণ থাকে যেমন- পানিযুক্ত বা ঘন ঘন মল, পেট খারাপ হওয়া বা ৩-৪ দিনের জন্য পাকস্থলীতে সমস্যা বা করোনাভাইরাসের অন্যান্য পরিচিত উপসর্গগুলো দেখা দেয় তবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিন। এর জন্য জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
অন্যান্য লক্ষণগুলো কী?
শুকনো কাশি, দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, শ্বাসকষ্ট- এগুলো করোনাভাইরাসের সবেচেয়ে পরিচিত লক্ষণ। ভাইরাসের কিছু কম পরিচিত লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, গন্ধ বা স্বাদ অনুভূতি হ্রাস, বিভ্রান্তি, মাথা ঘোরা, চোখের ফ্লু, নীল ঠোঁট, তীব্র সর্দি, পেশী ব্যথা , ক্লান্তি ইত্যাদি। গবেষণায় দেখা গেছে ভাইরাসটি শিশু ও গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে ভিন্নভাবে আচরণ করতে পারে।
শ্বজুড়ে বেড়ে গেছে করোনা ভাইরাস

শ্বজুড়ে বেড়ে গেছে করোনা ভাইরাস

বিশ্বজুড়ে বেড়ে গেছে করোনা ভাইরাস
জাপানে করোনার সংক্রমণ ফের বাড়ছেই। শুধু বাড়ছেই না, রেকর্ডসংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে গত দুই দিনে। বৃহস্পতিবার একদিনে সর্বোচ্চ ছয় শতাধিক শনাক্তের রেকর্ডের পর শুক্রবার সেই রেকর্ড ভেঙ্গে গেছে। নতুন করে যেসব মানুষ কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন তার অর্ধেকই রাজধানী টোকিওর বাসিন্দা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলছে, গত বৃহস্পতিবার যে ছয় শতাধিক শনাক্ত হন এর মধ্যে ২৮৬টি হচ্ছে রাজধানী টোকিওতে। শুক্রবার টোকিওরও নতুন সেই রেকর্ড ভেঙে যায়। নতুন করে এ দিনে সেখানে শনাক্ত হয় ২৯৩ জন করোনা রোগী। করোনা সংক্রমণের নতুন এই ঢেউ নিয়ে বিপাকে পড়েছে জাপান।
গত প্রায় দুই সপ্তাহ সময় ধরে জাপানের রাজধানী টোকিওসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে ভাইরাসটির সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্তে আগের রেকর্ড ভেঙ্গে যাচ্ছে। শুক্রবার দেশটিতে নতুন করে ৬২৩ জন রোগী শনাক্ত হয়। গত ১০ এপ্রিলের পর দেশটিতে একদিন এত মানুষ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়নি।
এদিকে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে একের পর বিশ্বরেকর্ড গড়ছে  যুক্তরাষ্ট্র। ক’দিন পরপর নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভাঙছে। সর্বশেষ একদিনে দেশটিতে নতুন ৭৭ হাজার ৩০০ করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।
গত ডিসেম্বরে মহামারিটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এখন অবধি একদিনে এটাই কোনো দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক শনাক্তের ঘটনা। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির উপাত্তের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
খবরে বলা হয়, জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি সরকারি উপাত্তের উপর ভিত্তি করে তথ্য প্রকাশ করে থাকে। সাম্প্রতিক দিনগুলোয় যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার এমন রেকর্ড ভেঙেছে। তবে বৃহস্পতিবারের উপাত্ত অনুসারে, এত বড় ব্যবধানে নতুন সংক্রমণ আগে দেখা যায়নি। এখন অবধি বিশ্বের মধ্যে করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
সর্বশেষ তথ্যানুসারে, দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ লাখ ৭৬ হাজারের বেশি মানুষ। মারা গেছেন ১ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি করোনা রোগী।

Thursday 16 July 2020

আরও এক নতুন পৃথিবীর খোঁজ, উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানীরা

আরও এক নতুন পৃথিবীর খোঁজ, উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানীরা

আরও এক নতুন পৃথিবীর খোঁজ, উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানীরা
ঠিক যেন আয়নায় দেখা প্রতিচ্ছবি। পৃথিবীর বাইরেও আর এক পৃথিবী। বনবন করে ঘুরে চলেছে আরও এক সূর্যের চারপাশে। এই নতুন খোঁজ পেয়ে আশায় বুক বেঁধেছেন বিজ্ঞানীরা। বলা হচ্ছে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে পৃথিবীর মতো দেখতে গ্রহও আছে, আবার সূর্যের মতো উজ্জ্বল নক্ষত্রও আছে। তবে এই গ্রহ-তারার জুটি রয়েছে আরও কাছাকাছি, পাশাপাশি। পৃথিবী থেকে মাত্র তিন হাজার আলোকবর্ষ দূরে।
 
তারার নাম কেপলার-১৬০( Kepler-160) । তাকে প্রদক্ষিণ করছে পৃথিবীর মতো দেখতে কেওআই-৪৫৬.০৪ (KOI-456.04)। পৃথিবীর কাছাকাছি এমন আরেকটি পৃথিবী যে রয়েছে, সে কথা অবশ্য আগেই জানিয়েছিল নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ। এবার হাতেনাতে এই প্রমাণ দিয়েছে গটিনজেনের ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর সোলার সিস্টেম রিসার্চ। তবে সেই পৃথিবীতে মানুষের বা প্রাণী ও উদ্ভিদের অস্তিত্ব আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
 
নাসা বলেছিল গোটা নক্ষত্রপুঞ্জে সূর্যের মতো প্রতি পাঁচটা তারার অন্তত একটির চারপাশে ঘুরছে একটা করে পৃথিবীর মতো গ্রহ। যার আকার থেকে শুরু করে আবহাওয়া, অনেক কিছুই মিলে রয়েছে পৃথিবীর সঙ্গে। তার মধ্যে আবার বেশ কিছু গ্রহে নাকি বেশি শীতও পড়ে না, আবার তাপমাত্রার পারদও চড়ে না। মোটামুটি প্রাণ তৈরি হওয়ার মতো পরিবেশ। তাই পৃথিবীর বাইরে প্রাণের খোঁজে মহাকাশবিজ্ঞানীদের অভিযান দীর্ঘ বছরের।
 
ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের স্পেস টেলিস্কোপ দেখিয়েছে নতুন খুঁজে পাওয়া এই সৌরমণ্ডলের যে নেতা অর্থাৎ কেপলার-১৬০ নক্ষত্র সূর্যের মতো ইনফ্রারেড রশ্মির বিকিরণ করে ঠিকই, তবে অত আগুনে রূপ নেই। এই তারার পৃষ্ঠদেশের তাপমাত্রা ৫২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সূর্যের চেয়ে ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। এর তেজও সূর্যের চেয়ে অনেকটাই কম। এই তারা নিভু নিভু আঁচের। মহাকাশবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে ‘রেড ডোয়ার্ফ স্টার’ (Red Dwarf Stars) বা লাল বামন তারা। মহাকাশে এমন অনেক তারা আছে যেগুলি তুলনায় কম উজ্জ্বল। তাদের ‘লাল বামন’ বলা হয়।
 
মহাকাশবিজ্ঞানীরা বলেন, মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা লাল বামনের পনেরো শতাংশের চারপাশে পৃথিবীর মতো গ্রহ ঘুরছে। পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা তথ্য দিয়ে দেখিয়েছিলেন, ৫০ শতাংশ লাল বামনের চারপাশেই রয়েছে এমন গ্রহ। কেওআই-৪৫৬.০৪ এক্সোপ্ল্যানেট (সৌরজগতের বাইরে থাকা গ্রহ)বা ভিন গ্রহটিও কেপলার-১৬০ নক্ষত্রের চারপাশে তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে পাক খেয়ে চলেছে।
 
তবে বিজ্ঞানীদের ধারণা, ওই নক্ষত্র ও গ্রহের মাঝের দূরত্ব বেশি নয়। সূর্য থেকে বুধের দূরত্ব যতটা, সম্ভবত তার থেকে কাছেই রয়েছে কেওআই-৪৫৬.০৪। আর লাল বামন তারার তেজ যেহেতু বেশি নয়, তাই সে গ্রহে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে কি না সে নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখন মাথা ঘামাচ্ছেন। যদিও অধিকাংশ বিজ্ঞানীর ধারণা, এই এক্সোপ্ল্যানেটের গড়ন পৃথিবীর মতো হলেও তার ভর বা পরিবেশ নিয়ে বেশি কিছু জানা যায়নি। এই গ্রহের পৃষ্ঠদেশ কেমন, পৃথিবীর মতো পাথর-মাটির নাকি বরফে ঢাকা, তা জানাও সহজ কাজ নয়।
 
এই সৌরজগতের বাইরে কোনও গ্রহ ‘হ্যাবিটেবল জোন’-এ (যেখানে পৃথিবীর মতো প্রাণের সম্ভাবনা থাকতে পারে) আছে কি না, তা নিয়ে বহু বছর ধরে কাজ করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। এ বছরেই নাসার ‘ট্রানসিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট’ বা টেস (TESS)-এর লেন্সে ধরা দিয়েছে পৃথিবীর মতো দেখতে  একটি নীলাভ গ্রহ। পৃথিবীর এই যমজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টিওআই ৭০০ ডি (TOI 700 d)।’ এর আগে কেপলার ৭৮বি নামক এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। সে গ্রহের ঘনত্ব পৃথিবীর মতো, পৃষ্ঠদেশও পাথুরে। কিন্তু তাপমাত্রা এতই বেশি যে সেখানে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা বেশ কম।
 
এক্সো-প্ল্যানেটের (সৌরজগতের বাইরের গ্রহ) খোঁজে গত ২০ বছর ধরে কাজ করে চলেছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভিন গ্রহের হদিশ পেয়েছে। আমাদের সৌরমণ্ডলের প্রতিবেশী আলফা সেনটাওরি সৌরজগতে প্রক্সিমা সেনটাওরি-বি নামের একটি গ্রহের খোঁজ দিয়েছিল নাসার ‘ট্রানসিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট’ বা টেস (TESS)। সেই গ্রহটিও সূর্যের মতোই নক্ষত্র প্রক্সিমা সেনটাওরি –র চারপাশে পাক খাচ্ছে। আমাদের সৌরমণ্ডল থেকে মাত্র ৪.২৪ আলোকবর্ষ দূরে। তবে সে গ্রহেও  প্রাণ আছে কিনা সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।
 
গত কয়েক দশক ধরেই পৃথিবীর মতো গ্রহের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে নাসা। এখনও পর্যন্ত পাঁচশোরও বেশি গ্রহ, বামন গ্রহ ও উপগ্রহের সন্ধান মিলেছে যাদের সঙ্গে পৃথিবীর নানা বিষয়ে মিল পাওয়া যায়। এই গ্রহগুলির মধ্যে কেপলার-৪৫২বি-ই আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলোর মতো। এই গ্রহে আবার জল থাকারও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
করোনা মহামারি আরও খারাপ হওয়ার কথা জানালো ডব্লিউএইচও

করোনা মহামারি আরও খারাপ হওয়ার কথা জানালো ডব্লিউএইচও

করোনা মহামারি আরও খারাপ হওয়া
ডব্লিউএইচও
যদি সব দেশ মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা সতর্কতা অবলম্বন না করে তাহলে চলমান

  করোনাভাইরাস মহামারি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমবার জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই সতর্কবার্তা দিয়েছে।
জেনেভায় এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, আমাকে স্পষ্ট করতে দিন, অনেক দেশই ভুল পথে অগ্রসর হচ্ছে, ভাইরাসটি এখনও জনগণের প্রথম শত্রু হিসেবে রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, যদি মৌলিক বিষয়গুলো না মানা হয়, তাহলে এই মহামারি চলতেই থাকবে। এটি আরও খারাপ, খারাপ ও খারাপ হতে থাকবে। কিন্তু এটিকে এভাবে চলতে দেয়া যায় না।
এদিকে, সোমবার পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ। গত পাঁচদিনেই বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের তাণ্ডব চললেও এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিষেধক কিংবা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দুই শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরির প্রকল্প চালু রয়েছে। এছাড়া অন্তত ২০টি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।
তবে বিশ্বে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালে সাফল্যের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। সম্প্রতি দেশটির সেশনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এ সাফল্য দেখিয়েছেন বলে সোমবার জানিয়েছে রাশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা স্পুটনিক।
রাশিয়ার গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির তৈরি এ করোনা ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছিল গত ১৮ জুন। রুশ গবেষকরা বলেছেন, পরীক্ষায় সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে ভ্যাকসিনটি।