Monday 27 July 2020

যে দেশে মাত্র 27 জন মানুষ থাকে এবং মাটি নেই দেশে,এবং সবচেয়ে ছোট দেশ |

আপনারা হয়ত কোনো দেশ আছে যাতে কোনো মাটি নেই এটি কি কখনো ভেবেছেন |প্রিয় দর্শক আজকে আমি আপনাদের সামনে এরকম একটি দেশের নাম বলব এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে জানাবো |

এই দেশটি 2 সেপ্টেম্বর 1967 সালে স্বাধীন হয় | এটি সবচেয়ে ছোট দেশও বটে | হ্যা এর নাম হচ্ছে সিল্যান্ড |
যে দেশে মাত্র 27 জন মানুষ থাকে
সিল্যান্ড :রাজধানীর নাম HM Fort Roughs

সিল্যান্ড একটি অণুরাষ্ট্র (ইংরেজি Micronation মাইক্রোনেশন)। এখানকার বাসিন্দারা নিজেদেরকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবী করলেও বিশ্বের কোনও সার্বভৌম রাষ্ট্র একে রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা দেয়নি

সবচেয়ে ছোট দেশ |
সিল্যান্ড :আয়তন ৫৫০ বর্গমিটার

ভৌগিলিক অবস্থান :
  • এই তথাকথিত ক্ষুদ্রতম দেশটির মোট আয়তন ৫৫০ বর্গমিটার। 
  • ইংল্যান্ডের উত্তর সাগরে এই রাষ্ট্রটির অবস্থান। দেশটির একটি রাজধানীও রয়েছে। দেশটির রাজধানীর নাম HM Fort Roughs
  •  এই দেশটি সাগরের উপর ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। মাটি থেকে অনেকটা উপরে দুটো বড় বড় ইস্পাতের পাইপের উপর এই দেশটির অবস্থান। এই দেশটিতে কোনো মাটি নেই। পুরোটাই ইস্পাত। 
  • এই দেশটিতে যেতে হলে ইংল্যান্ডের উত্তর উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার সাগরের গভীরে যেতে হবে। 
  • দেশটিতে একটিমাত্র ঘর চোখে পড়বে এবং সেটিই এই দেশের রাজপ্রাসাদ। রাজপ্রাসাদের উপর দেশটির পতাকা উড়তে দেখা যাবে।

মুদ্রা :
  1. মজার বিষয় হচ্ছে সে দেশে মুদ্রাও রয়েছে | 
  2. দেশটিতে ইংরেজি ভাষা প্রচলিত এবং মুদ্রার নাম সিল্যানন্ড ডলার।
  3. তবে বাইরের কোনো দেশে এই মুদ্রা চলে না।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে স্বাধীন হলো | হ্যা এই দেশকে কেউ স্বীকৃতি দেয়নি তবে বিরোধিতা ও করেনি  |


ইতিহাস :



  • এটি আসলে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি সমুদ্র বন্দর। জার্মান সেনারা যে কোনো সময় ইংল্যান্ড আক্রমণ করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ইংল্যান্ডের উপকূলভাগে সমুদ্র দুর্গ বানানোর পরিকল্পনা করল। 
  • সে পরিকল্পনা থেকেই উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে বানানো হলো মউনশেল সি ফোর্ট। এখান থেকে শত্রু যুদ্ধ জাহাজগুলোর ওপর নজরদারি করা হতো। প্রয়োজনে শত্রু জাহাজে আক্রমণ পরিচালনার কাজও চলত।
  •  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে অন্যান্য অসংখ্য দুর্গের সঙ্গে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এটাকেও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে।
  • ১৯৬৭ সালের ২রা সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ নাগরিক Major Paddz Roy Bates এবং তার পরিবার এই জায়গাটির স্বত্বাধিকারী হোন। তারপর তারা এটাকে একটি স্বাধীন মাইক্রো রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেয় 
  • | পৃথিবীর কোনো দেশ এখনও সিল্যান্ডকে স্বীকৃতি না দিলেও কেউ তাদের বিরোধিতা করেনি। মোট জনসংখ্যার তিনজনই Bates পরিবারের সদস্য এবং যথাক্রমে তারা এই রাজ্যের রাজা, রানী এবং রাজপুত্র

সিল্যান্ড: রাজা Major Paddz Roy Bates

পতাকা এবং প্রতীক :

সিল্যান্ডের  নিজস্ব পতাকা এবং প্রতীক রয়েছে   

 মাটি নেই দেশে
সিল্যান্ড : পতাকা
যে দেশে মাত্র 27 জন মানুষ থাকে এবং মাটি নেই দেশে,এবং সবচেয়ে ছোট দেশ |
সিল্যান্ড :প্রতীক 

অগ্নিকান্ড : 

সিল্যান্ডে একবার অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়। সময়টি ছিল ২০০৬ সালের ২৩ জুন। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লাগে।এতে সিল্যান্ডের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ইংল্যান্ডের উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে সিল্যান্ডকে মেরামত করা হলে ২০০৬ সালের নভেম্বরে তারা আবার সিল্যান্ডে ফিরে যান





SHARE THIS

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: